Thursday, September 19, 2013

হাতিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য(ইসলাম প্রচার ও বড় মসজিদ)

হাতিয়ার বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন, সাবেক উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমীন রচিত ‘তিলোত্তমা হাতিয়া : ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ বই ও দ্বীপের প্রবীণদের কাছ থেকে হাতিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানা গেছে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতাব্দীর দিকে বঙ্গোপসাগর আর মেঘনার মোহনায় গড়ে ওঠা সবুজে ঘেরা দ্বীপটি মানুষের নজরে আসে। কিংবদন্তি রয়েছে, পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বার আউলিয়া নামে খ্যাত বারজন আউলিয়া মাছের পিঠে সওয়ার হয়ে বাগদাদ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে হাতিয়ায় বিশ্রাম নিয়েছিলেন।বিশ্রামকালে সন্দ্বীপ-হাতিয়ার অনেক মানুষ তাদের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। হজরত সুলতান ইব্রাহীম বলখি মাহীসাওয়ারও মাছের পিঠে চড়ে হাতিয়ায় এসেছিলেন। বিখ্যাত সাধক বায়েজিদ বোস্তামী এবং হজরত শাহ আলী বোগদাদি হাতিয়ায় কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। এর পর থেকে হাতিয়ায় প্রচুর আরব সাধক এসেছিলেন। সর্বশেষ একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়ের চারশ’ বছর আগে ৭ম শতাব্দীতে কিছু আরব বণিক ধর্ম প্রচারের জন্য সমুদ্রপথে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় মনোরম এই দ্বীপটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দ্বীপে কিছুকাল অবস্থান করেন। এসব আরব বণিক ও সাধক দ্বীপে বসবাসরত কিরাত সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষদের মাঝে ইসলাম প্রচার করেন।
        
তিহাসে বাংলাদেশে ইসলামের প্রবেশদ্বার হিসেবে চট্টগ্রামকে ধরা হলেও হাতিয়াতেই ইসলামের
সূত্রপাত হয় বলে বিশ্বাস করেন দ্বীপের মানুষেরা। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে এখানে একটি বৃহত্তম জামে মসজিদ গড়ে ওঠে। এটিই ছিল হাতিয়ার ঐতিহাসিক প্রথম জামে মসজিদ। নির্মাণের প্রায় ৮০০ বছর পর ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৫৮ সালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মজিদের নকশায় পুরনো সেই মসজিদের আদলে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখানে আরেকটি মসজিদ গড়ে তোলা হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত মসজিদটি অক্ষত ছিল।

Sunday, September 15, 2013

হাতিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য

আমার জন্মস্থান নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায়।মেঘনার বুকে ছোট্ট একটি দ্বীপ হাতিয়া।অপরূপ সুন্দর এই দ্বীপ।যেন রঙ তুলি দিয়ে আঁকা কোন ছবি।এটা হতে পারত অস্ট্রেলিয়ার বালি দ্বীপের মত।কিন্তু সরকারী অবহেলায় তা হয়নি।তারপরও আমাদের যা আছে তা কয়জনের আছে? নদী,মাঠ,গাছে-গাছে পাখি,আরও আছে পর্যটন কেন্দ্র নিঝুম দ্বীপ ও তার চিত্রা হরিণ।তাই তো ভালবাসি হাতিয়াকে।
হাতিয়াবাসীদের অনেকেই হাতিয়ার ইতিহাস জানে না।তাই কিছু তথ্য দিলাম।আশা করি ভাল লাগবে।

ইতিহাস:-প্রমত্তা মেঘনা আর বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশির প্রচণ্ড দাপটের মুখে হাতিয়ায় প্রকৃতির ভাঙা-গড়ার কারণে এক থেকে দেড়শ’ বছরের পুরনো কোনো নিদর্শন অবশিষ্ট নেই। দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি অনেক গবেষক হাতিয়ার ওপর গবেষণা করেছেন। তাদের মধ্যে সুরেশ চন্দ্র দত্ত কিছু যুক্তি দিয়ে হাতিয়ার বয়স অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছেন। দক্ষিণবঙ্গের ভূ-ভাগ সৃষ্টির রহস্য নিয়ে তার গবেষণায় তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রতি ১৩৬ থেকে ১৪০ বছর সময়ের মধ্যে এক মাইল স্থলভাগ সৃষ্টি হয় হাতিয়ায়। তার এ তথ্য আমলে নিয়ে হাতিয়ার বর্তমান আয়তনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে হাতিয়ার বয়স সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার বছর বলে ধারণা করা হয়।
বর্তমানে নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত হাতিয়ার চৌহদ্দি নিরূপণ করলে দেখা যায়, হাতিয়ার উত্তরে সুধারাম, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে সন্দ্বীপ এবং পশ্চিমে মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলা। এক সময় সন্দ্বীপের সঙ্গে হাতিয়ার দূরত্ব ছিল খুবই কম। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই দূরত্ব এখন ৬০ মাইল ছাড়িয়েছে। ক্রমাগত ভাঙনই এ দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। হাতিয়ার ভাঙা-গড়ার খেলা চতুর্মুখী দোলায় দোদুল্যমান। উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম দিক দিয়ে ভাঙছে। আবার দক্ষিণে গড়ছে, পাশাপাশি আবার মূল ভূখণ্ডকে কেন্দ্র করে আশপাশে ছোট-বড় নানান ধরনের চর জেগে উঠছে। ওয়েব স্টার নামের একটি সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৮৯০ সাল থেকে হাতিয়ার আদি ভূখণ্ডের উত্তর ভাগের ভাঙন শুরু হয়। বিরাট আয়তনের জমি নদী ও সাগরের ভাঙনে বিলুপ্ত হলেও একই সময় দ্বীপের উত্তর দিকে হাতিয়ার আয়তন ভাঙনের প্রায় ২ থেকে ৫ গুণ হারে বাড়তে শুরু করে। সেই সময় এ অঞ্চলের জেগে ওঠা চরের যে হিসাব পাওয়া যায় তা হলো : ফেনী নদীর মুখে ৫টি, হাতিয়া দ্বীপের সম্প্রসারণ ১৮টি, হাতিয়া চ্যানেলে ৫টি, মেঘনার বুকে ৩টি ও ডাকাতিয়া নদীর মুখে ৩৫টি চর সৃষ্টির প্রক্রিয়া হাতিয়ার মোট আয়তনকে পরিবৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। ১২০ বছরের ব্যবধানে হিসাব-নিকাশে ঢের পরিবর্তন এসেছে। অনেক চর মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, কিছু কিছু আবার ভাঙনের কবলে পড়ে হারিয়ে গেছে। ক্রমাগত ভাঙনের কারণে সঠিক আয়তন নির্ধারণ করা কঠিন হলেও উপজেলা পরিষদের হিসাব মতে হাতিয়ার বর্তমান আয়তন ২১শ’ বর্গকিলোমিটার বলে উল্লেখ আছে।

পরবর্তীতে আরও তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব।সবাই ভাল থাকবেন।

Saturday, September 14, 2013

উবুন্টু তে DELETE বাটন যোগ করুন

প্রথমে <Files> এ গিয়ে উপরে (Panel) বাম পাশের <Files> এ Click করুন,এখান থেকে <Preferences> যান। একটি Window আসবে।ওখান থেকে <Behavior> এ যান আর <Include a Delete command that Bypasses Trash> Select করে করে দিন।

Sunday, September 8, 2013

থ্রিজি লাইসেন্স পেল গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল


টেলিটকের পর এবার থ্রিজি আনছে গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল। সর্বোচ্চ ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ পেয়েছে গ্রামীণফোন। আর ৫ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ বরাদ্দ পয়েছে রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে শুরু হয় থ্রিজি নিলাম। নিলামের প্রথম ধাপে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ পায় গ্রামীণফোন। দ্বিতীয় ধাপে ৫ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ বরাদ্দ পয়েছে রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিক।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য এ নিলাম ডেকেছে। নিলামে ২৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বিক্রি হলেও এখন ১৫ মেগাহার্টজ অবিক্রীত রয়েছে।
নিলামে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল অংশ নেয়। সিটিসেল নিলামে অংশ নেয়নি।
টেলিটক ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। টেলিটক এই নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে ওঠা দাম তাদের পরিশোধ করতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, থ্রিজির সঙ্গে ফোরজি ও এলটিই নেটওয়ার্ক সার্ভিস দিতে পারবে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। ১৫ বছরের জন্য হবে এই লাইসেন্স। প্রতি পাঁচ বছর পর এটি নবায়নের সুযোগ থাকবে।
থ্রিজি তরঙ্গ বরাদ্দের নিলামে অংশ নিতে অপারেটরগুলোর আবেদনের শেষ দিন ছিল ১২ আগস্ট।
থ্রিজি তরঙ্গ বরাদ্দের লাইসেন্স মাসুল ১৫ শতাংশ থেকে দুই দফায় কমিয়ে ৫ শতাংশ করে বিটিআরসি। এ ছাড়া বিটিআরসির সঙ্গে রাজস্ব আয় ভাগাভাগির (রেভিনিউ শেয়ারিং) ওপর নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহার করা হয়। এ বিষয়গুলো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো থ্রিজি নিলামে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে আসছিল।  
গত ১৮ আগস্ট বিটিআরসি আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশ করে। আর নিলাম-প্রক্রিয়া নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে অপারেটরগুলোর পরামর্শের দিন ছিল ১৯ আগস্ট। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা জামানত (আর্নেস্টমানি) জমা দেয় ২৬ আগস্ট।
আাশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা থ্রিজি সেবা পাব।

Wednesday, September 4, 2013

Bangladesh public University admission test (2013-2014) schedule

বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ সূত্রে ৩১ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরভর্তি পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখগুলোঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরক-ইউনিট ২২ নভেম্বর , খ- ইউনিট ৮ নভেম্বর,গ- ইউনিট ১৫ নভেম্বর, ঘ- ইউনিট ১ নভেম্বর , চ- ইউনিট ২৩ নভেম্বর ( সকাল ),
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২ হতে ৯ নভেম্বর,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক-ইউনিট ২২ নভেম্বর, খ- ইউনিট ৮ নভেম্বর,গ- ইউনিট১৫ নভেম্বর, ঘ- ইউনিট ১ নভেম্বর (বিকাল),
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২৯ নভেম্বর,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১০-১
৪ নভেম্বর,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ থেকে ২৪ নভেম্বর,
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৯ নভেম্বর,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৮ নভেম্বর,
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১ ডিসেম্বর,
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ২ নভেম্বর,
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯ নভেম্বর,
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ নভেম্বর,
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২৩ নভেম্বর,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ নভেম্বর,
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২৫,২৬,২৭ অক্টোবর,
মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩ ও ৪ ডিসেম্বর,
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২৮ ও ২৯ নভেম্বর,
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ নভেম্বর,
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩ ও ৪ ডিসেম্বর,
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৪ ও ১৫ নভেম্বর,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ থেকে ২১ নভেম্বর,
যশোর বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ নভেম্বর,
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০ ডিসেম্বর,
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ৮ নভেম্বর,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ১,২,৩,৪ নভেম্বর,
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ২৭ ও ২৮ নভেম্বর,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ১১,১২,ও ১৩ ডিসেম্বর,
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রফেশনালস ১১ অক্টোবর,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২৯ ও ৩০ নভেম্বর,
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়- ৭ ডিসেম্বর,
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ২৪,২৫,২৬,২৭ নভেম্বর, নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় ,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েরএর পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয়নি। পরিবর্তীত সময় সূচী সম্মন্বয় করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
(সংগৃহীত)