Thursday, November 28, 2013

SSC Exam - 2014 Routine

POSTED BY MD A R JOY
এস এস সি পরীক্ষা ২০১৪ এর সময়সূচী প্রকাশিত হয়েছে।
pdf ফরম্যাটে ডাউনলোড করুন -
SSC Routine 2014
অথবা ইমেজ ফরম্যাটে দেখুন -

Thursday, September 19, 2013

হাতিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য(ইসলাম প্রচার ও বড় মসজিদ)

হাতিয়ার বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন, সাবেক উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমীন রচিত ‘তিলোত্তমা হাতিয়া : ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ বই ও দ্বীপের প্রবীণদের কাছ থেকে হাতিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানা গেছে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতাব্দীর দিকে বঙ্গোপসাগর আর মেঘনার মোহনায় গড়ে ওঠা সবুজে ঘেরা দ্বীপটি মানুষের নজরে আসে। কিংবদন্তি রয়েছে, পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বার আউলিয়া নামে খ্যাত বারজন আউলিয়া মাছের পিঠে সওয়ার হয়ে বাগদাদ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে হাতিয়ায় বিশ্রাম নিয়েছিলেন।বিশ্রামকালে সন্দ্বীপ-হাতিয়ার অনেক মানুষ তাদের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। হজরত সুলতান ইব্রাহীম বলখি মাহীসাওয়ারও মাছের পিঠে চড়ে হাতিয়ায় এসেছিলেন। বিখ্যাত সাধক বায়েজিদ বোস্তামী এবং হজরত শাহ আলী বোগদাদি হাতিয়ায় কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। এর পর থেকে হাতিয়ায় প্রচুর আরব সাধক এসেছিলেন। সর্বশেষ একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়ের চারশ’ বছর আগে ৭ম শতাব্দীতে কিছু আরব বণিক ধর্ম প্রচারের জন্য সমুদ্রপথে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় মনোরম এই দ্বীপটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দ্বীপে কিছুকাল অবস্থান করেন। এসব আরব বণিক ও সাধক দ্বীপে বসবাসরত কিরাত সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষদের মাঝে ইসলাম প্রচার করেন।
        
তিহাসে বাংলাদেশে ইসলামের প্রবেশদ্বার হিসেবে চট্টগ্রামকে ধরা হলেও হাতিয়াতেই ইসলামের
সূত্রপাত হয় বলে বিশ্বাস করেন দ্বীপের মানুষেরা। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে এখানে একটি বৃহত্তম জামে মসজিদ গড়ে ওঠে। এটিই ছিল হাতিয়ার ঐতিহাসিক প্রথম জামে মসজিদ। নির্মাণের প্রায় ৮০০ বছর পর ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৫৮ সালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মজিদের নকশায় পুরনো সেই মসজিদের আদলে মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখানে আরেকটি মসজিদ গড়ে তোলা হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত মসজিদটি অক্ষত ছিল।

Sunday, September 15, 2013

হাতিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য

আমার জন্মস্থান নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায়।মেঘনার বুকে ছোট্ট একটি দ্বীপ হাতিয়া।অপরূপ সুন্দর এই দ্বীপ।যেন রঙ তুলি দিয়ে আঁকা কোন ছবি।এটা হতে পারত অস্ট্রেলিয়ার বালি দ্বীপের মত।কিন্তু সরকারী অবহেলায় তা হয়নি।তারপরও আমাদের যা আছে তা কয়জনের আছে? নদী,মাঠ,গাছে-গাছে পাখি,আরও আছে পর্যটন কেন্দ্র নিঝুম দ্বীপ ও তার চিত্রা হরিণ।তাই তো ভালবাসি হাতিয়াকে।
হাতিয়াবাসীদের অনেকেই হাতিয়ার ইতিহাস জানে না।তাই কিছু তথ্য দিলাম।আশা করি ভাল লাগবে।

ইতিহাস:-প্রমত্তা মেঘনা আর বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশির প্রচণ্ড দাপটের মুখে হাতিয়ায় প্রকৃতির ভাঙা-গড়ার কারণে এক থেকে দেড়শ’ বছরের পুরনো কোনো নিদর্শন অবশিষ্ট নেই। দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি অনেক গবেষক হাতিয়ার ওপর গবেষণা করেছেন। তাদের মধ্যে সুরেশ চন্দ্র দত্ত কিছু যুক্তি দিয়ে হাতিয়ার বয়স অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছেন। দক্ষিণবঙ্গের ভূ-ভাগ সৃষ্টির রহস্য নিয়ে তার গবেষণায় তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রতি ১৩৬ থেকে ১৪০ বছর সময়ের মধ্যে এক মাইল স্থলভাগ সৃষ্টি হয় হাতিয়ায়। তার এ তথ্য আমলে নিয়ে হাতিয়ার বর্তমান আয়তনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে হাতিয়ার বয়স সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার বছর বলে ধারণা করা হয়।
বর্তমানে নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত হাতিয়ার চৌহদ্দি নিরূপণ করলে দেখা যায়, হাতিয়ার উত্তরে সুধারাম, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে সন্দ্বীপ এবং পশ্চিমে মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলা। এক সময় সন্দ্বীপের সঙ্গে হাতিয়ার দূরত্ব ছিল খুবই কম। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই দূরত্ব এখন ৬০ মাইল ছাড়িয়েছে। ক্রমাগত ভাঙনই এ দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। হাতিয়ার ভাঙা-গড়ার খেলা চতুর্মুখী দোলায় দোদুল্যমান। উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম দিক দিয়ে ভাঙছে। আবার দক্ষিণে গড়ছে, পাশাপাশি আবার মূল ভূখণ্ডকে কেন্দ্র করে আশপাশে ছোট-বড় নানান ধরনের চর জেগে উঠছে। ওয়েব স্টার নামের একটি সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৮৯০ সাল থেকে হাতিয়ার আদি ভূখণ্ডের উত্তর ভাগের ভাঙন শুরু হয়। বিরাট আয়তনের জমি নদী ও সাগরের ভাঙনে বিলুপ্ত হলেও একই সময় দ্বীপের উত্তর দিকে হাতিয়ার আয়তন ভাঙনের প্রায় ২ থেকে ৫ গুণ হারে বাড়তে শুরু করে। সেই সময় এ অঞ্চলের জেগে ওঠা চরের যে হিসাব পাওয়া যায় তা হলো : ফেনী নদীর মুখে ৫টি, হাতিয়া দ্বীপের সম্প্রসারণ ১৮টি, হাতিয়া চ্যানেলে ৫টি, মেঘনার বুকে ৩টি ও ডাকাতিয়া নদীর মুখে ৩৫টি চর সৃষ্টির প্রক্রিয়া হাতিয়ার মোট আয়তনকে পরিবৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। ১২০ বছরের ব্যবধানে হিসাব-নিকাশে ঢের পরিবর্তন এসেছে। অনেক চর মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, কিছু কিছু আবার ভাঙনের কবলে পড়ে হারিয়ে গেছে। ক্রমাগত ভাঙনের কারণে সঠিক আয়তন নির্ধারণ করা কঠিন হলেও উপজেলা পরিষদের হিসাব মতে হাতিয়ার বর্তমান আয়তন ২১শ’ বর্গকিলোমিটার বলে উল্লেখ আছে।

পরবর্তীতে আরও তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব।সবাই ভাল থাকবেন।